ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ , ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমান'ই জনআকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিশারী : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-২১ ২৩:৪৮:৪৬
তারেক রহমান'ই জনআকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিশারী : মিফতাহ্ সিদ্দিকী তারেক রহমান'ই জনআকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিশারী : মিফতাহ্ সিদ্দিকী


নিজস্ব প্রতিবেদক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, বিএনপি বিগত ১৭ বছর থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে। বিএনির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ফ্যাসিস্ট রেজিমের ক্যাঙ্গারো কোর্টে বিচারের নামে প্রহসনের শিকার হয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গুম-খুন, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্বকরণ করেছেন। এত নির্যাতন সহ্য করে জনতার পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মুল উদ্দেশ্য ছিল- দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা, বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা ও রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা।


এখন একটি পক্ষ সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করতে সংষ্কারের দোহাই দিচ্ছে, অতচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করার জন্য ৩১ দফা সংষ্কার প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। দেশনায়ক তারেক রহমান সব সময় জনগনের সমৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করেন, জনগনের আকাঙ্খাকে অনুধাবন করেন এবং জন আকাঙ্খাকে বাস্তবয়ন করতে চান। তাই দেশবাসীর কাছে এখন তারেক রহমান জন আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আলোর দিশারী।



 বিএনপি এসব সংষ্কার বাস্তবায়ন করে সত্যিকারার্থে একটি সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায়।
শনিবার বিকেলে সিলেটের কোমম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে কোম্পানীগঞ্জ সদর হাইস্কুল মাঠে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি আরো বলেন, এই কোম্পানীগঞ্জ একটি অবহেলিত উপজেলা ছিল, এখানো যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে এই এলাকার সংসদ সদস্য, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমান অবহেলি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাবাসীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন। সিলেট শহর থেকে এই এলাকায় আসাটা খুবই কঠিন ছিল, অভ্যন্তরিন যোগাযোগ ব্যবস্থা করুন ছিল। মরহুম এম. সাইফুর রহমান কোম্পানীগঞ্জবাসীকে একটি আলোকিত উপজেলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।


তাঁর সময়ের পর আর কোন টেঁকসই উন্নয়ন হয়নি। আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব দিলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আরো সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। তাই আগামী নির্বাচনে এই অঞ্চলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে এখন থেকে মাঠে ময়দানে কাজ শুরু করতে হবে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যেতে যেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি আর স্বনির্ভরতার প্রতীক ধানের শীষ। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।



তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদের ভরপুর এই উপজেলা। এখান থেকে আহরোণ করা পথর সারাদেশে যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। কিন্তু একটি বিশেষ দেশ থেকে পাথর আমদানি করার জন্য এবং তাদের স্বার্থের জন্য পরিবেশের দোহাই দিয়ে আমাদের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে করে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে, তাদের পরিবার পরিচয় নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আমরা চাই প্রকৃতি ও পরিবেশকে বজায় রেখে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিক ভাইবোনদের কর্মসংস্থান ফিরে দেয়া হউক। শ্রমিকরা উপকৃত হোক, দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হোক এবং আমদানি নির্ভরশীলতা ফিরে আসুন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। আমরা শহীদ জিয়ার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চাই।


কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন খন্দকার ফরহাদের যৌথ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির আহবয়ায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সালেহ আহমদ খসরু, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল আহমদ, সওকত আলী বাবুল ও মামুন রশীদ মামুন, সিলেট সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ বকসী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা সফিকুর রহমান টুটুল, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনির যুগ্ম-আহবায়ক মিফতাহুল কবির মিফতাহ, আব্দুস সামাদ তুহেল, সিলেট জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম।


অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী সিকন্দর আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নরুল মুত্তাকিন বাদশা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল মনাফ, নজির আহমদ, আবুল কালাম, আকবর হোসেন, হাজী উমর আলী, শুকুর আলী, ডা. নুরুল আমিন, আলাউদ্দিন, মনির হোসেন, শামসুদ্দিন শাহীন, ফখরুল ইসলাম মেম্বার, জুয়েল আহমদ, শিহাব উদ্দিন মেম্বার, ওসমান খা, বিএনপি নেতা রফিকুল বারী রোম্মান, সাকির আহমদ, আবু সাঈদ মোঃ তায়েফ, এএসএম সায়েম, মারুফ আহমেদ টিপু, আসাদুল হক আসাদ, শাহিন আলী, গোলাম মাহমুদ আজম, আমিনুল ইসলাম বেলাল, উবায়দুর রহমান সজিব, জাকির হোসেন কয়েস, এবি মজুমদার রনি, সোহেল আহমদ, ইফতেখার আহমদ পাবেল, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি লায়েক আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ বাহার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাকিম আহমদ ফরহাদ, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন রবি, সাধারণ সম্পাদক সেবুল আহমদ, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফখরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, তেলিখান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজ আহমদ আনু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, ইছাকলস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল করিম, দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমদ, উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হেসেন দুদু, সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ন আহবায়ক রজন মিয়া, রাইসুল ইসলাম রাজন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আলা উদ্দিন, সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মনির হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি আফিয়া বেগম, সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আবুল বাশার বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উসমান আলী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আল-আমিন সারোয়ার প্রমূখ।


জনসভায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, উপজেলার অন্তর্গত ৬টি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে যোগদান করেন। এসব মিছিলে বাংলাদেশ ও বিএনপির দলীয় পতাকা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি সম্বলিত রং-বেরঙের ফ্যাস্টুন এবং দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগদান করেন।


জনসভা উপলক্ষে বেলা ২টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে নারী-পুরুষরা জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার পূর্বেই কানায় কামায় পূর্ণ হয়ে যায় কোম্পানীগঞ্জ সদর হাইস্কুল মাঠ। কোথাও যেন তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। সমাবেশ শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা ৩১ দফা কর্মসূচির প্রতিটি দফা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।


কর্মসূচির শুরুতেই বিগত নিয়ে ইন্তেকাল করা দলের নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।






 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ